‘বৈষম্য’ নিরসনের দাবীতে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী চাকরীতে পদোন্নতি বঞ্চনাসহ নানা ‘বৈষম্য’ নিরসনের দাবীতে আজ সোমবার বাংলাদেশ বেতার, আগাঁরগাও, ঢাকা কেন্দ্রের মূল ফটকের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিজস্ব শিল্পী এবং কলাকুশলী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে তারা বিভিন্ন ব্যানার এবং প্লাকার্ডের মাধ্যমে ‘বৈষম্য নিরসনে’ তাদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন।

বেতারের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো:

​১। বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান করা।

​২। ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতিসহ উপসচিব পদে ন্যায্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিত করা।

​৩। একীভূত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডার বাস্তবায়ন করা।

​৪। বাংলাদেশ বেতার হতে নিজস্ব মহাপরিচালক নিয়োগ করা।

​৫। নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি বাতিলপূর্বক পুন:সংশোধন করা।

​৬। বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব শিল্পীদের পদ স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ।

​বাংলাদেশ বেতারের ৯ম, ১৩ তম এবং ১৫ তম বিসিএস কর্মকর্তারা এখনো ৪র্থ গ্রেডে আছেন। এছাড়াও, ২৪ তম থেকে ২৭ তম বিসিএস এর কর্মকর্তারা ৬ষ্ঠ গ্রেডে রয়েছেন যাদের অধিকাংশ ১৪ বছরের বেশী এবং ২৮ তম থেকে ৩৫ তম বিসিএস-এর নবম গ্রেডের অধিকাংশ কর্মকর্তা প্রায় ৮ থেকে ১৪ বছর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন বলে তারা বলছেন।

​বিসিএস তথ্য ক্যাডারের চারটি সাব-ক্যাডার রয়েছে। উপসচিব পদে আবেদনের ক্ষেত্রে এ চারটি সাব ক্যাডারের মধ্যে একটি সাব ক্যাডার গণযোগাযোগ/পিআইডি থেকে ১৩৬টি ভিত্তি পদের বিপরীতে প্রতি বছর ১০টি আবেদন গ্রহণ করা হয়। তবে তাদের অভিযোগ ‘বৈষম্যের নজির স্থাপন’ করে বাংলাদেশ বেতারের বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ০টি সাব ক্যাডার থেকে ৩২৩ টি ভিত্তি পদের বিপরীতে ‘অযৌক্তিকভাবে’ মাত্র ১০টি আবেদন গ্রহণ করা হয়।

বিদ্যমান বাস্তবতায় বাংলাদেশ বেতারের ‘চলমান বৈষম্’য নিরসন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করা হলে ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনর মূল যে লক্ষ্য’ তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে তাদের দাবী।

Related Articles

Back to top button