প্রস্তুতি নিয়ে আক্ষেপ মুশফিকের
অনলাইন ডেস্ক: লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকায় মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়দের মতো টেস্টের নিয়মিত মুখদের পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল ‘এ’ দলের সঙ্গী করে। ইসলামাবাদে প্রথম চার দিনের ম্যাচটিতে এই ক্রিকেটারদের খেলানোর অর্থ ছিল টেস্ট সিরিজের আগে ম্যাচ প্রস্তুতিটা যেন সেরে নিতে পারেন।
অবশ্য লাভ খুব বেশি হয়নি। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ম্যাচটা নির্বিঘ্নে হয়নি।
যেটুকু হয়েছে তাতেও সন্তোষজনক ব্যাটিং করতে পারেননি মুশফিক-মুমিনুলরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১২২ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। একমাত্র ফিফটি আসে মাহমুদুলের ব্যাট থেকে। সেই তিনিও কুঁচকির চোট নিয়ে টেস্ট সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন।
দুই ইনিংস ব্যাটিং করা মুমিনুল করেন যথাক্রমে ১১ ও ৮ রান। এক ইনিংস ব্যাট করা মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। প্রথম ইনিংসে রানের দেখা না পাওয়া ওপেনার জাকির হাসান দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৩৩ রান। একই উইকেটে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান শাহিনসের ব্যাটাররা ৪ উইকেটে ৩৬৭ রান করেন।
ভালো করতে পারলে নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি পেতেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কারণ পাকিস্তানের দলটিতে মূল দলের আট ক্রিকেটার ছিলেন। এর মধ্যে নাসিম শাহ, মীর হামজার মতো পেসারও ছিলেন। প্রতিপক্ষের প্রশংসার সঙ্গে তাই প্রস্তুতির আক্ষেপই ফুটে উঠল মুশফিকের কণ্ঠে, ‘এমনিতে ভালোই কাটছে। যদিও ম্যাচটা আমাদের পক্ষে আসেনি।
আবহাওয়াও সুবিধাজনক ছিল না। বৃষ্টির কারণে আমাদের পর্যাপ্ত অনুশীলন হয়নি। পাকিস্তান শাহিনস খুব ভালো খেলেছে। উমর (আমিন) ভালো ব্যাট করেছেন। নাসিম, মীর হামজা খুব ভালো বল করেছেন। আমাদের দুটি টেস্ট সামনে। এই দল থেকে যারা টেস্ট স্কোয়াডে যাচ্ছে, তাদের একটু সুবিধা হবে।’
ম্যাচটি খেলতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছেন মুশফিক। চোটের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংও করা হয়নি। জানা গেছে, তাঁর চোট গুরুতর নয়। আগামী বুধবার প্রথম টেস্টের আগে সেরে ওঠার আশা করছেন তিনি নিজেও, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে আঙুলে ব্যথার কারণে ব্যাট করিনি। আশা করছি, দ্রুত সেরে উঠে প্রথম টেস্ট খেলব।’ এদিকে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পেসনির্ভর আক্রমণ সাজানোর পরিকল্পনা পাকিস্তানের। স্কোয়াড থেকে একমাত্র স্পিনার আবরার আহমেদকে ছেঁটে ফেলে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে স্বাগতিকরা।