চট্টগ্রামে চমক দেখাতে চায় বিএনপি, জামায়াতও মাঠে সরব

অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় ১৬টি আসন। চট্টগ্রাম মহানগরীর চারটি আসন ধরা হয়। তবে এর মধ্যে দুটি আসনের অংশবিশেষ জেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। ১৯৯১ সাল থেকে মোটামুটি নিরপেক্ষ নির্বাচনি পরিসংখ্যানে বিএনপির প্রার্থীরা বেশির ভাগ আসনে জয়লাভ করেন। এখানে বিএনপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান উল্লেখ করার মতো ছিল না। শুধু সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে তাদের একক শক্ত অবস্থান ছিল। বিগত নির্বাচনগুলোতে ঐ একটি ছাড়া মহানগর ও জেলার অন্য সব আসনে তাদের অবস্থান ছিল তৃতীয়। অনেক আসনে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীও ছিল না। বিগত নির্বাচনগুলোর ফলাফল, সাংগঠনিক অবস্থা, প্রার্থী পরিচিতি এবং পপুলার ভোটারের বিবেচনায় বিএনপির অবস্থান এগিয়ে। তাছাড়া মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি এবং সংখ্যালঘু ভোটারের বিষয়টি বিবেচনায় নিলেও বিএনপির ভালো অবস্থান প্রত্যাশিত। তবে অতি বিশ্বাসী বিএনপি প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত হবে তাদের ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনি কর্মকাণ্ডের ওপর।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে বিএনপি ১৪টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। এই ১৪টি আসনের মধ্যে অন্তত ৩-৪টি আসনে মনোনীত প্রার্থী নিয়ে বিরোধ রায়েছে। একাধিক মনোনয়নবঞ্চিত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। এতে ঐ আসনগুলোতে জামায়াতের প্রার্থীরা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) :বিএনপির প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৯টি নির্বাচন ও উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী পাঁচ বার নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিটি নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। তার বিপরীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা এবং ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত অপেক্ষাকৃত তরুণ সাইফুর রহমান। তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) :চট্টগ্রাম জেলার একসময়কার সবচেয়ে সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকার একটি ফটিকছড়ি। ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আট নির্বাচনে দুই বার জামাল উদ্দিন আহমেদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাকি ছয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এলাকায় মাইজভাণ্ডার শরীফ ও হেফাজতে ইসলামীর অনুসারীদেরও প্রভাব রয়েছে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি সরওয়ার আলমগীর। তার প্রতি বাবুনগরী মাদ্রাসা তথা হেফাজতে ইসলামীর প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে বলে জানা যায়। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত সেক্রেটারি মো. নুরুল আমিন।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) :এই আসনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিগত সময়ে বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে এই আসনে এবারও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশাকে। তিনি একাধিকবার এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সন্দ্বীপ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতের উত্তর জেলা নেতা আলাউদ্দিন সিকদার।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) :এই আসনে বিএনপির প্রভাব উল্লেযোগ্য। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটির সাবেক মন্ত্রী এল কে সিদ্দিকী চার বার এই এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন তরুণ যুবদল নেতা কাজী সালাহউদ্দিন। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব এবং বর্তমানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী এফসিএ। আওয়ামী লীগ শাসন আমলের দীর্ঘ ৯ বছর ধরে জেলে থাকা এই নেতা মনোনয়ন না পাওয়ায় তার সমর্থকরা মিছিল, সভা, সমাবেশ ও মানববন্ধন অব্যাহত রেখেছে। আসলাম চৌধুরী নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তার ব্যাংকে বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ থাকায় তা কাটিয়ে ওঠার বিষয়টিও রয়েছে। সীতাকুণ্ড আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়েছেন উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আনোয়ার সিদ্দিকী।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) :এই আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অধিকাংশ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা এখানে জয়লাভ করেছেন। এখানে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা রয়েছে। হেফাজতে ইসলাম ইতিমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধচারণ করায় তা বিএনপির জন্য ইতিবাচক বলে অনেকের অভিমত। বিএনপির পক্ষ থেকে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরী। তিনি প্রথমবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) : চট্টগ্রামের সবচেয়ে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত রাউজান। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর এ পর্যন্ত ১৫-১৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এখানে। অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডই বিএনপির বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে ঘটেছে বলে প্রচারণা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি ফজলুল কাদের চৌধুরীর তৃতীয় সন্তান। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়েছেন শাহজাহান মঞ্জুর। তিনি এবার প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। এই আসন থেকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীও বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই আসন থেকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী মুসলিম লীগ ও জাতীয় পার্টি থেকেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাঙ্গুনিয়া আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়েছেন ডা. এ টি এম রেজাউল করিম। রেজাউল করিম সিলেট মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীর পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি এবার প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ) : এই আসন বোয়ালখালী উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানার অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত। বিএনপির প্রতিষ্ঠা থেকে ২০০৮ পর্যন্ত নির্বাচনে অধিকাংশ সময়ে বিএনপির প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। এই আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এরশাদ উল্লাহ ইতিপূর্বেও এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়েছেন বিশিষ্ট চিকিত্সক ডা. আবু নাসের। তিনি প্রথমবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) : এ আসন থেকে যে সংসদ সদস্য হন তার দলই সরকার গঠন করে এমন একটি প্রবাদ রয়েছে। ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফলে প্রবাদটির সত্যতা মেলে। গত বৃহস্পতিবার এ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগরী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. এ কে এম ফজলুল হক। তিনি নগরীতে একাধিক হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই আসনে অনেক সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে তাদের উপস্থিতি ও ভোট প্রদানে নির্বাচনি ফলাফলে প্রভাব ফেলবে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) : এই আসনে বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। ১৯৯১ সালে এ আসন থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেওয়া এই আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালী। তিনি প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) : এ আসনেও বিএনপির অবস্থান সুদৃঢ়। বিএনপি এখনো এ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এবং সাবেক নগর ছাত্রদলের সভাপতি নাজিমুর রহমান। ইসরাফিল খসরু হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল আলম। তিনি বিগত আওয়ামী লীগের সময় সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : এটি বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন এনামুল হক। তিনি প্রথমবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কয়েক মাস আগে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর দলীয় মনোনয়নও পেয়েছেন তিনি। তার মনোনয়ন পরিবর্তন করার জন্য দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতিসহ চার জন মনোনয়নপ্রত্যাশী লিখিতভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. ফরিদুল আলম। তিনি অনেক দিন ধরে নির্বাচনি প্রচারণা ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) : এই আসনে বিগত নির্বাচনগুলোতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। তবে বিএনপি প্রার্থীরাই নির্বাচিত হয়েছেন বেশি। এই আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচিত সরওয়ার জামাল নিজাম এবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) : এই আসনে বিএনপি কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। এ আসনে অধিকাংশ নির্বাচনে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদকে মনোনয়ন দেবে। এখানে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি প্রথমবার নির্বাচন করছেন।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) : এ আসনটি জামায়াত নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখান থেকে দুই বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য শাহাজাহান চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্য ‘উঠবে-বসবে’ ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। তিনি এবারও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কম পরিচিত নাজমুল মোস্তফা আমিন। তার মনোনয়নে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ। এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন ও মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) : এ আসনে বিগত নির্বাচনগুলোতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মিশকাতুল ইসলাম পাপ্পা। তিনি বিগত সময়ে একাধিকবার ঐ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছোট ছেলে। এই আসনে বিএনপির একাধিক সক্রিয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তার মনোনয়নে অনেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন জহিরুল ইসলাম। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।




