দ্বিতীয়বার নির্বাচনে দাঁড়াবেন না জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা
অনলাইন ডেস্ক: জাপানের উদারপন্থী দল ডিএলপি পার্টির নেতা প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না, অর্থাৎ তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আসছে সেপ্টেম্বর মাসে ফুমিও কিশিদা সরকারপ্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা হিসেবে তিনি পুনর্নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করবেন না। আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে কেলেঙ্কারির কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা হারানোর মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
সংবাদ সম্মেলনে ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যা কিছু করা সম্ভব সব করব আমি।’
ঘোষণা অনুযায়ী পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কিশিদার তিন বছরের মেয়াদকালের অবসান ঘটবে।
এএফপি জানিয়েছে, তাঁর সরে যাওয়ার ঘোষণায় এলডিপি পার্টিতে নতুন দলীয় প্রধান ও বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। সেপ্টেম্বরে এলডিপির নতুন একজন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর কিশিদা (৬৭) সরে যাবেন।
দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে এলডিপি পার্টির জড়িয়ে পড়া, বাড়তে থাকা জীবনযাত্রার ব্যয় ও ইয়েনের মান পড়ে যাওয়ার মতো কয়েকটি কারণে কিশিদার প্রতি জনসমর্থন তলানিতে নেমে গেছে।
গত মাসে তার পক্ষে জনসমর্থন নেমে মাত্র ১৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে জাপানের কোনো প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সর্বনিম্ন জনসমর্থন এটি।
আগামী ২০২৫ সালে জাপানের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। ওই নির্বাচনে কিশিদার নেতৃত্বে এলডিপি জয় পাবে কি না, তা নিয়ে তাঁর দলের অনেকেই সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন। এলডিপি ১৯৫৫ সাল থেকে প্রায় ধারাবাহিকভাবে জাপানের ক্ষমতায় আছে। আর কিশিদা ২০২১ সাল থেকে ডিএলপি পার্টির প্রধান ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।