ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত, ৬২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রাজিলের সাও পাওলোতে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ৬২ জনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যের ভিনেদো শহরে ভোপাস এয়ারলাইন্সের এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের দুই ইঞ্জিনের একটি বিমান বিধস্ত হয়। এতে বিমানটির সব যাত্রী নিহত হোন। বিমানটিতে ৫৮ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু ছিলেন।
সাও পাওলো রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ এবং ২৮ জন নারী। তাদের ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ এসব লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরই এসব লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, বিমানে থাকা ক্যাপ্টেন এবং ফাস্ট অফিসারের মরদেহ সনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বাকি মরদেহ শনাক্তের জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা হোটেলে থাকবেন। ইতোমধ্যে ৩৮টি পরিবার এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে আকাশে কয়েকবার ঘুরছিল। পরে এটি মাটিতে বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের এই বিমান দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইট রেকর্ডারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, তদন্ত কাজে এগুলো সহযোগিতা করবে।
ট্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট রাডার টুয়েন্টিফোর-এর তথ্যানুসারে, ২২৮৩ ফ্লাইটটি শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে ক্যাসকেভেল থেকে যাত্রা করেছিল এবং বেলা ১টা ৪০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা ছিল।
বিমান থেকে প্রাপ্ত শেষ সংকেতটি অবতরণের নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ মিনিট আগে ছিল। ব্রাজিলের সিভিল এভিয়েশন এজেন্সি জানিয়েছে, ২০১০ সালে নির্মিত বিমানটি বৈধ রেজিস্ট্রেশন এবং এয়ারওয়ার্ডিনেস সার্টিফিকেটসহ ভালো অপারেটিং অবস্থায় ছিল। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। এর আগে ব্রাজিলে ২০০৭ সালে বিমান দুর্ঘটনায় ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়।