অর্থ ফাঁকি ও আওয়ামী প্রভাব

শাহজালালসহ ৩ বিমানবন্দরে ১৬ প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল
অনলাইন ডেস্ক: ঢাকার হযরত শাহজালালসহ দেশের তিন বিমানবন্দরের ১৬টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইজারা নবায়ন করবে না বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ফলে নতুন অর্থবছরে (২০২৫-২৬) বিমানবন্দরে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল সোমবার মধ্যরাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ সংক্রান্ত বেবিচকের আদেশের কপিতে দেখা গেছে, ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। বাকি দুটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রোববার ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়েছে এবং সোমবার নোটিশ জারি করেছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের তালিকায় রয়েছে— এরোস ট্রেডিং, সজল এন্টারপ্রাইজ, মাহবুবা ট্রেডার্স, নাহার কনস্ট্রাকশন, এভিয়েশন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, এ ফাইভ রোডওয়ে লিমিটেড, ওয়ার্ল্ড ট্রাস্ট ট্যুরিস্ট কার সার্ভিসেস কোং, শিরিন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হাওলাদার অ্যান্ড সন্স, মেসার্স অথৈ এন্টারপ্রাইজ, ওলফ করপোরেশন, আড়িয়াল ক্রিয়েটিভ স্পেস, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন ও ডিপার্টম্যান্ট এস কনসালটিং।
বাকি দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্যালকন এজেন্সি এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ফ্যালকন এয়ারপোর্ট সার্ভিস টিম।
বেবিচকের এক কর্মকর্তা বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ ফাঁকি দেওয়া এবং আওয়ামী লীগের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ইজারা নেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক। সব মিলিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।