মালয়েশিয়ায় ফের কর্মী পাঠাতে শিগগিরই চুক্তির আশা
প্রাচ্যবাণী ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় আবারও বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে শিগগিরই দুই সরকারের চুক্তির আশা করছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। তবে এবার নির্দিষ্ট এজেন্সি নয়, সবার জন্য বাজার উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নতুন কর্মী পাঠানোর আগে মালয়েশিয়ায় ভোগান্তিতে পড়া কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সৌদি আরবের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। বর্তমানে ১২ লাখের বেশি কর্মী রয়েছেন দেশটিতে। তবে দেশটিতে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া বন্ধ করে মালয়েশিয়া। ২০২২ সালে আবারও শ্রমবাজার খোলার পর চার লাখের বেশি বাংলাদেশি সেখানে গেছেন।
বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে মালয়েশিয়া গেলেও অনেকে কাজ না পেয়ে কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। এ নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে মালয়েশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ অবস্থায় ৩১ মে’র পর বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের কর্মী নেওয়া বন্ধ করছে মালয়েশিয়া। অবশ্য প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, নতুন চুক্তির চেষ্টা চলছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আবারও চুক্তি করার জন্য মন্ত্রণালয় ও অ্যাম্বাসিগুলো রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কাজ করছে। প্রয়োজনে আমরা সে দেশে যাব। এক দেশের সরকারের সঙ্গে আরেক দেশের সরকারের চুক্তি হবে। মালয়েশিয়া কত লোকবল চায় সেই অনুযায়ী খুব দ্রুতই হবে নতুন চুক্তি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আর সিন্ডিকেট আমরা তৈরি করিনি। মালয়েশিয়া সরকার নিজে থেকেই এখান থেকে কিছু রিক্রুটিং এজেন্সিকে বাছাই করেছে। আমরা চাই নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত সব এজেন্সি কাজ করার সুযোগ পাক। আমরা চাই ওপেন মার্কেট হোক। এই ব্যাপারে আমাদের কোনো বাধা নেই।’
৩১ মে’র আগেই এ বিষয়ে আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, একটা অগ্রাধিকার তালিকা করে সেটা নিয়ে দর কষাকষি করা যেতে পারে। নয়তো দুই থেকে তিন বছরের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে আরেক বিপদ হবে। আর সেখানে যারা থেকে যাবে তারাও অনিশ্চয়তায়। ৩১ মে’র আগেই এ বিষয়ে আলোচনা জোরদার করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশে শ্রমিক দুর্ভোগের অন্যতম কারণ, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি না করা। তাই কূটনৈতিক দক্ষতার পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের তাগিদ দিয়েছেন তারা।